যে ছেলেটির গল্প বলতে চলেছি তার নাম নিক ডি'অ্যালিসিও। নিক মিলিওনিয়ার হয়েছে মাত্র ১৬ বছর বয়সে। এ কম্পিউটার প্রোগ্রামার এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে কনিষ্ঠ উদ্যোক্তাদের মধ্যে একজন। মাত্র ১৫ বছর বয়সে 'ট্রাইমিট' নামে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার একটি অ্যাপস বানিয়ে তিনি বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেন। পরবর্তীতে অ্যাপটির নামকরন করা হয় “সামলি”।
এক লাখ ডাউনলোড হবার পর অ্যাপ স্টোর এই অ্যাপটিকে ফিচার করে আর তাতেই তার আবিষ্কৃত অ্যাপস নিজেদের বগলদাবা করতে নেমে পড়ে প্রযুক্তি জায়ান্টগুলো। ২০১৬ সালে ইয়াহু নিকের কাছ থেকে ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে ‘ট্রাইমিট’ কিনে নেয়! অবিশ্বাস্য এ মুল্যে তিনি মাত্র ১৬ বছর বয়সে একান্তই নিজের প্রচেষ্টায় মিলিওনিয়ারের খাতায় নাম লেখান।
বিশ্ব বিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিন তাকে সারাবিশ্বের প্রভাবশালী ১০০ তরুণের অন্যতম হিসেবে অভিহিত করে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল তাকে 'ইনোভেটর অব দ্য ইয়ার' হিসেবে ভূষিত করে। টাইম ম্যাগাজিন, বিজনেস ইনসাইডার, ফোর্বস, দ্য হাফিংটন পোস্ট, টেক ক্রাঞ্চ তাকে নিয়ে ফিচার করেছে।
আমরা প্রতিদিন সারাবিশ্বের নানা রকম খবর পড়ি। তবে এত এত খবরের মধ্যে কোনটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেটা বাছাই করতেই বেশ হিমশিম খেতে হয়। আবার কিছু খবরের বিস্তারিত পড়তেও অনেক সময়ের দরকার। এই সমস্যাটা নিয়েই কাজ করেছেন নিক ডি’অ্যালিসিও। নিকের তৈরি লিনিয়ার অ্যালগরিদম বিশ্বের সেরা সব নিউজ খুঁজে দেয় এবং সেগুলোকে সংক্ষিপ্ত আকারে সামারি করে প্রকাশ করে।
আমরা গল্পপ্রিয় জাতি। তবে আমাদের সমস্যা হলো, কারো ভালো কোন অর্জনের গল্প সহজে মনকে স্পর্শ করতে চায় না। “গড গিফটেড” নামক একটা টার্ম তৈরি করে নিয়েছি যেটা দিয়ে কারো কঠোর পরিশ্রমে অর্জিত যেকোন অর্জনকে জুতা দিয়ে মনের অজান্তেই মাড়িয়ে ফেলি আমরা।
মাত্র ১৬ বছর বয়সে মিলিওনিয়ার বনে যাওয়া এই ছেলেটি যদি পারে তবে আমরা কেন পারবো না?
আইটি বিশ্বে, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের দুনিয়ায় বাজিমাত করতে শুধুমাত্র ইন্টারনেট আর একটা ল্যাপটপ দরকার। বাকিটা আপনার কঠোর পরিশ্রম। নিক ডি’অ্যালিসিওদের এই অর্জন আমাদের জন্য অনুপ্রেরণার। যদি আপনি এদেরকে “গড গিফটেড” বলে পার পেয়ে যেতে চান তবে আপনি তার এই অর্জনের পেছনের সব পরিশ্রমকে অস্বীকার করলেন।
মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট সেক্টরে নিজের স্কিল তৈরির কাজ শুরু করে দিন। আজকে থেকেই। আমরা একটা অনলাইন কোর্সের আয়োজন করেছি Bongo Academy প্ল্যাটফর্মে। আমি নিজে ট্রেইনার হিসাবে থাকবো। একদম শুরু থেকে স্টেপ বাই স্টেপ গাইড করবো অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট এর উপর। কোর্স অংশগ্রহন করতে এখানে ক্লিক করুন।